আশীর্বাদ
[কল্যাণীয়া শামসুন নাহার খাতুন জয়যুক্তাসু]
শত নিষেধের সিন্ধুর মাঝে অন্তরালের অন্তরীপ
তারই বুকে নারী ব’সে আছে জ্বালি’ বিপদ-বাতির সিন্ধু-দীপ।
শাশ্বত সেই দীপান্বিতার দ্বীপ হতে আঁখিদ্বীপ ভরি
আসিয়াছ তুমি অরুণিমা আলো প্রভাতী তারার টিপ পরি’।
আপনার তুমি জান পরিচয়, তুমি কল্যাণী, তুমি নারী,
আনিয়াছ তাই ভরি’ হেম-ঝারি মরু-বুকে জমজম-বারি।
অন্তরিকার আঁধার চিরিয়া প্রকাশিলে তব সত্য রূপ-
তুমি আছ, আছে তোমারো দেবার, তব গেহ নহে অন্ধকূপ।
তুমি আলোকের-তুমি সত্যের-ধরার ধূলার তাজমহল,
রৌদ্রতপ্ত আকাশের চোখে পরালে স্নিগ্ধ নীল কাজল।
আপনারে তুমি চিনিয়াছ যবে, শুধিয়াছ ঋণ, টুটেছে ঘুম;
অন্ধকারের কুঁড়িতে ফুতেছে আলোকের শতদল কুসুম।
বন্ধকারের প্রাকারে তুলেছ বন্দিনীদের জয়-নিশান-
অবরোধ রোধ করিয়াছে দেহ, পারেনি রুধিতে কণ্ঠে গান!
লহ স্নেহাশিস-তোমার ‘পুণ্যময়ী’র, ‘শামস’ পুন্যালোক
শাশ্বত হোক, সুন্দর হোক, প্রতি ঘরে চির দীপ্ত রোক!
হুগলী
১৯ মাঘ ১৩৩১
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান